স্বামী থাকা অবস্থায় স্ত্রীর ২য় বিয়ে বিষয়টি ইদানিং কালে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় । সাধারনত আমরা শুনে থাকি ১ম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে স্বামীর একাধিক বিয়ের খবর। যা এখন আর নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্ত্রী কতৃর্ক যেমন তালাকের হার বেড়েছে তেমনই স্ত্রী কতৃর্ক ১ম স্বামীকে তালাক না দিয়েই বিয়ের ঘটনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা সবসময় খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেনা। কিন্তু ক্রিকেটার নাসির এর বিয়ের পর থেকেই আলোচনায় আসে এমনই একটি ঘটনা।
ক্রিকেটার নাসির যেই মেয়েকে বিয়ে করেছে সেই তামিমা তাম্মীর ছিলেন বিবাহিত। তামিমার ১ম স্বামী রাকিবের দাবি তাকে তালাক না দিয়েই তামিমা বিয়ে করেছেন ক্রিকেটার নাসিরকে।
এবারে আসুন আমরা আলোচনা করি,
যদি তামিমা তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে বিয়ে করে থাকে এবং তালাকের আইনগত যে বিধান অর্থাৎ তালাকের নোটিশ প্রদানের পর ৯০ দিন সময় অতিবাহিত হওয়ার পর এই বিয়ে করে থাকে তাহলে নাসিরের সাথে বিয়ে হতে আইনগত কোন বাধা নেই।
তবে তামিমা যদি তালাক না দিয়ে অর্থাৎ তামিমার ১ম স্বামী রাকিবকে কোন তালাক না দিয়েই নাসিরের সাথে বিয়ে করে তাহলে তামিমা বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪৯৪ ধারার বিদান লঙ্ঘন করেছেন। যা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দন্ডবিধির ৪৯৪ ধারার বিধান অনুযায়ী তামিমা তার ১ম স্বামীকে তালাক না দিয়ে ২য় বিয়ে বা পরবতীর্ বিয়ে করার কারনে বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪৯৪ ধারার বিধান মতে যে অপরাধ করেছেন তার জন্য ওই স্ত্রীকে সর্বোচ্চ ৭বছর মেয়াদের যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ডে দন্ডিত করা যাবে। সেইসঙ্গে আর্থিক জরিমানাও করা যাবে। তবে সেই স্ত্রী যদি তার পূর্বের স্বামীর ৭বছর যাবত কোন খোঁজ না পান, অথবা তিনি জীবিত থাকতে পারেন এমন কোন তথ্য জানা না থাকে তাহলে পরবর্তী স্বামীকে অবস্থা বর্ণনা করে তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন।
মুসলিম আইন অনুযায়ী, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাবস্থায় কোনো মুসলিম নারী যদি আরেকটি বিয়ে করেন তবে সেই বিয়ে অবৈধ।
এক্ষেত্রে প্রথম স্বামীকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হলে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে। সেই সাথে ৪২০ কিংবা ৪০৬ ধারাও সংযুক্ত করা যেতে পারে ক্ষেত্রবিশেষে।