শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রম আদালতে মামলা করার নিয়ম জেনে নিন। মালিকের অনৈতিকভাবে লেঅফ/ছাটাই/ডিসচার্জ/বরখাস্ত/অপসারন অথবা অন্য যে কোন কারনে চাকরী থেকে অবসায়ন এর বিরূদ্ধে মামলা/অভিযোগ করার নিয়ম ও দন্ড নিয়ে আজকের আলোচনা
শ্রম আদালতে অভিযোগ বা মামলা দায়ের করার নিয়ম
•প্রথমত আপনার বিরূদ্ধে আপনার সুপারভাইজার/এইচ আর/ বা আপনার উর্ধতন বসের যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে সেই অভিযোগ সর্ম্পকে জানার ৩০ দিনের মধ্যে মালিকের নিকটে আপনাকে লিখিত একটি অভিযোগ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অথবা সরাসরি প্রেরন করতে হবে।
•মালিক লিখিত অভিযোগটি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিবেন এবং শ্রমিককে তার বিরূদ্ধে আনা অভিযোগ সর্ম্পকে শুনানির সুযোগ দিবেন এবং সবশেষ মালিকের সিদ্দান্তটি জানাবেন।
•মালিক যদি কোন সিদ্ধান্ত দিতে না পারেন অথবা শ্রমিক যদি মালিকের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হন তাহলে শ্রমিক মালিকের হাতে থাকা ৩০ দেন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩০ দিন অথবা মালিকের সিদ্দান্তের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
শ্রম আদালতে শুনানি
•শ্রম আদালত লিখিত অবিযোগ পাওয়ার পর মালিক ও শ্রমিক উভয়কেই নোটিশ প্রদান করবেন।এবং উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর যেটা ণ্যায় সঙ্গত তেমন আদেশ দিবেন।
শ্রম আদালতের ক্ষমতা
•শ্রম আদালত তার আদেশ দ্বারা অভিযোগকারীকে নিন্মোক্ত প্রতিকার দিতে পারেন।
ক. বকেয়া মজুরিসহ বা মজুরি ছাড়া শ্রমিককে চাকরীতে পূর্নবহাল করার নির্দেশ দিতে পারবেন।
খ. অথবা কোন বরখাস্ত/ ডিসচার্জ/ অপসারন সংক্রান্ত মালিকের আদেশ কে পরিবর্তন করে লঘুদন্ড প্রদান করতে পারবেন যেমন: ১. অপসারন ২. জরিমানা ৩. নিচের পদে/ গ্রেডে ১ বৎসর পর্যন্ত আনয়ন ৪. অনধিক ১ বৎসর পদোন্নতি বন্ধ ৫. অনধিক ১ বৎসর মজুরি বৃদ্ধি বন্ধ ৬. অনধিক ৭ দিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে সাময়িক বরখাস্ত ৭. ভৎসর্না ও সতর্কীকরন
শ্রম আদালতের আদেশে সংক্ষুদ্ধ হলে কি করবেন?
•শ্রম আদালতের কোন আদেশ দ্বারা যদি কোন ব্যাক্তি সংক্ষুদ্ধ হন তাহলে তিনি আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আপীল ট্রাইবুনালে আপীল দায়ের করতে পারবেন। আর এই আপীল ট্রাইবুনাল এর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত হইবে।
শ্রম আদালতে কোর্ট ফি
•শ্রম আদালতে মামলা করতে কোন কোর্ট ফি লাগে না