বায়না দলিল বা বায়না চুক্তি করার সময় ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে যে চুক্তি হয় তার পরিনতি সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারনা নেই। বিশেষ করে অসাধু ডেভলপাররা বায়না চুক্তি করার পরই তাদের সব কাজ শেষ হয়েছে বলে মনে করেন। বায়না দলিল করার সময় তাদের মধ্যে যে আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সাব কবলা রেজিস্ট্রেশন দেওয়া নিয়ে সেই আগ্রহ তাদের মধ্যে থাকনো। বিষয়টা অনেকটা এরকম যে টাকা সব নিয়েছি জমিটা কোন রকমে রেজিস্ট্রি না দিতে পারলেই হয়।
আর সবচেয়ে বড় ভুল বা অপরাধ যারা ক্রয় করেছেন তাদের কেননা একটি জমি ক্রয়ের সঠিক নিয়ম কানুন না জেনেই আমরা যারা জমির পেছনে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা খরচ করে ফেলি। বায়না করার সময় দলিলে কোন সময়সীমাও আমরা উল্লেখ করিনা। পরে গিয়ে বিপদে পড়তে হয় আমাদের।
এবারে আসা যাক মুল আলোচনায়, ১৯০৮ সালের সম্পত্তি হস্তান্তর আইন এর ৫৪ ধারা বলা হয়েছে স্থাবর সম্পত্তির বায়নাপত্রে বিক্রয় দলিল সম্পাদন এবং রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে একটি সময় উল্লেখ করতে হবে। তবে যদি কোন সময়সীমা উল্লেখ করা না হয় তাহলে বায়না সম্পাদনের তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রি করতে হবে। তবে যেহেতু বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয় নি। তাই এই সুযোগ নিয়ে অনেকেই যার যার স্বাথের্ কথা চিন্তা করে সময় উল্লেখ করেনা।
তবে দুই পক্ষেরই উচিত একটি সময়সীমা নির্ধারন করা।
তবে তামাদী আইন অনুযায়ী অন্য আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন বায়না দলিলে উল্লেখিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার ১ বছরের মধ্যে দেওয়ানী আদালতে মামলা করে প্রতিকার পাওয়া যাবে।