চেক ডিজওনার মামলা করার নিয়মটি জানা না থাকলে এই লেখাটি আপনাকে এই বিষয়ে পরিস্খার একটা ধারনা দিবে। আপনার পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, আপনি কারো কাছে টাকা পাওনা রয়েছেন। এবং সে আপনাকে পাওনা টাকার গ্যারান্টি স্বরূপ বা টাকা পরিশোধের উদ্দেশ্যে আপনাকে তার স্বাক্ষর করা একটি চেক দিল। আপনি সেই চেক ব্যাংকে জমা প্রদান করে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক আপনাকে জানালো যে যিনি আপনাকে চেক দেয়েছেন তার একাউন্টে কোন টাকা নেই। সেক্ষেত্রে সেই চেকটি দিয়ে আপনি আর টাকা তুলতে পারছেন না। চেক দিয়ে এই টাকা তুলতে না পারাকেই চেক ডিজওনার বলা হয়ে থাকে।
আপনি বুঝতে পারলেন যে চেকদাতা আপনার সাথে প্রতারনা করেছেন। তাই এমন ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন তা নিয়েই আজকের আলোচনা।
যদি কেউ আপনাকে আপনার পাওনা টাকা পরিশাধের উদ্দেশ্যে এমন কোন চেক দেয় যে চেক দিয়ে আপনি টাকা তুলতে পারছেন না। বা যেই চেকটি টাকা না থাকরে ফলে ব্যাংক থেকে ফেরত প্রদান করা হলো সেই চেকটি দিয়েই আদালতের মাধ্যমে মামলা করতে পারেন। চেক এ যে তারিখ উল্লেখ থাকবে তার থেকে ৬ মাসের মধ্যে আপনাকে মামলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে তা না হলে সেই চেক দিয়ে আপনি আর টাকা আদায় করতে পারবেন না।
প্রথম ধাপঃ ব্যংকে চেক জমা দেয়ার পর ব্যাংক টাকা না থাকার কারনে আপনাকে একটি স্লিপ দিবে যেখানে চেকটি ফেরত এর কারন উল্লেখ থাকবে। একে চেক ডিজওনার স্লিপ বলা হয়। সেটি আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ ডিজওনার স্লিপ হাতে পাওনার পর ডিজওনার এর স্লিপে যে তারিখ থাকবে তা থেকে ১ মাসের মধ্যে আপনাকে লিগ্যাল নোটিশ করতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ
লিগ্যাল নোটিশ এ আপনাকে চেক দাতাকে ১ মাসের সময় দিতে হবে টাকা ফেরত প্রদানের জন্য। ১ মাসের মধ্যে যদি আপনি টাকা ফেরত না পান তাহলে লিগ্যাল নোটিশে দেওয়া ১ মাস সময় শেষ হওয়ার পর পরের ১ মাসের মধ্যে আপনাকে মামলা দায়ের করতে হবে।