কোম্পানীর রিটার্ন ফাইলিং কী?
কোম্পানীর রিটার্ন ফাইলিং খুবই গুরুত্বপূর্ন কাজ হলেও আমরা সকলেই কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন এর সময় যতটা আগ্রহী কোম্পানী রিটার্ন প্রদান করতে আমরা ততটাই উদাসীন। একজন ব্যাক্তিতে যেমন তার আয় ব্যায় হিসেব প্রদর্শন করে বছর শেষে আয়কর প্রদানের জন্য আয়কর রিটার্ন জমা প্রদান করতে হয়। তেমনি একটি কোম্পানী যেহেতু একটি একক স্বত্বা তাই কোম্পানীকেও তার বাষির্ক আয় ব্যায়ের হিসেব প্রদর্শন করে নির্ধারিত রিটার্ন ফরমের মাধ্যমে রিটার্ন প্রদান করতে হয়। আর একেই কোম্পানীর আয়কর রিটার্ন বা সংক্ষেপে কোম্পানী রিটার্ন বলা হয়। এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক যে কোন পরিবর্তন হলে সেই তথ্য আরজেএসকে অবহিত করনকেও কোম্পানী রিটার্ন বলা হয়।
নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানসমূহকে যথাযথ ফরমে ও নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন ফাইল করতে হয় এবং আরজেএসসি সেগুলোর অনুমোদন ও তার রেকর্ড সংরক্ষণ করে থাকে।
উপরের আলোচনা থেকে বলতে পারি।
কোম্পানি রিটার্ন আসলে ২ ধরনেরঃ
১. বার্ষিক রিটার্ন : কোম্পানীর আয় ব্যায়ের হিসেব করে করে এনবিআর কে যে রিটার্ন প্রদান করা হয়।
২. প্রাতিষ্ঠানিক যেকোনো পরিবর্তনের জন্য রিটার্নঃ কোম্পানীর আভ্যন্তরীন কোন পরিবর্তন এর পর আরজেএসসিকে যে রিটার্ন প্রদান করা হয়।
কোম্পানীর রিটার্ন ফাইলিং বিষয়টি ধারাবাহিক ভাবে আমার লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেস্টা করবো। এটি বেশ জটিল বিষয় কিন্তু আমি আপনাদের মাঝে বিষয়টিকে সহজভাবে উপস্থাপনের চেস্টা করবো।