1. admin@lawsnlawyers.com : lawsnlawyersbangla :
নামজারি বা মিউটেশন কি? জমি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের পর নামজারি কেন জরূরী? - Free Legal Advice Magazine in Bangladesh
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রম আদালতে কখন মামলা করতে পারবেন না শ্রম আদালতে মামলা করার নিয়ম।লেঅফ/ছাটাই/ডিসচার্জ/বরখাস্ত/অপসারন করলে করনীয় শ্রম আইন অনুযায়ী আপনি কি শ্রমিক নাকি কর্মী? চলুন জেনে নেই। বিদেশ থেকে কোন প্রকার ট্যাক্স ছাড়া কি কি পন্য ফ্রিতে আনতে পারবেন ইনকাম ট্যাক্স বা আয়কর রিটার্ন ২০২১ সালে কিভাবে হিসাব করবেন। Income Tax Calculation Process 2021 রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কেন যাবেন? রোমনিয়া কি শেনজেন দেশ। চলুন জেনে নেই। রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে আপনার কি কি ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখতে হবে জেনে নিন। বায়না চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ বছরের মধ্যে সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন না করলে পাবেন না আইনী প্রতিকার বায়না দলিল করার কত দিনের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করবেন জেনে নিন ১ম বিয়ে গোপন রেখে স্ত্রীর ২য় বিয়ে। ২য় স্বামী কি আইনগত প্রতিকার পাবে চলুন জেনে নেই।

নামজারি বা মিউটেশন কি? জমি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের পর নামজারি কেন জরূরী?

রিপোর্টার
  • Update Time : শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২১
  • ১৭৭২ Time View
নামজারী করার নিয়ম
নামজারী করার নিয়ম

নামজারি বা মিউটেশন নিয়ে আজকের আলোচনা থেকে আশা করি এ সম্পর্কে আপনাদের মধ্যে আর কোন ভয়ভীতি বা দুঃশ্চিন্তা থাকবে না। নামজারি’ বলতে-কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন বৈধ পন্থায় ভূমি/জমির মালিকানা অর্জন করার পর সরকারি রেকর্ড এ পূবের্র মালিকের নাম কর্তন করে নতুন মালিকের নাম বসিয়ে সংশোধন করে রেকর্ড আপটুডেট (হালনাগাদ) করাকেই নামজারি বলা হয়। কোন ব্যক্তির নামজারি সম্পন্ন হলে তাকে একটি খতিয়ান দেয়া হয় যেখানে তার অর্জিত জমির একখানি সংক্ষিপ্ত হিসাব বিবরণী উল্লেখ থাকে। উক্ত হিসাব বিবরণী অর্থাৎ খতিয়ানে মালিকের নাম, কোন মৌজা, মৌজার নম্বর, জে এল নম্বর, জরিপের দাগ নম্বর, দাগে জমির পরিমান, একাধিক মালিক হলে তাদের নির্ধারিত হিস্যা ও প্রতি বছরের ধার্যকৃত খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। 

জমি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের পর নামজারির প্রয়োজনীয়তাঃ

জমি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের পর নামজারি কেন জরূরী চলুন সে সম্পর্কে আগে জেনে নেওয়া যাকঃ
  • শুধুমাত্র কোন দলিলের মাধ্যমে অর্জিত মালিকানার ভিত্তিতে অথবা ওয়ারিশ হিসেবে পিতা-মাতার জমিতে দখলসূত্রে মালিকানা থাকলেই সরকারি রেকর্ডে উক্ত ভূমিতে তাঁর মালিকানা নিশ্চিত হয় না। কোন ভূমিতে বৈধ ওয়ারিশ বা ক্রয়সূত্রে মালিক হবার পর পূর্বের মালিকের নাম হতে নাম কেটে বর্তমান মালিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয়, তাহলেই তার মালিকানা সরকার কর্তৃক নিশ্চিত হয়। আর এটিই হল নামজারি পদ্ধতি।
  • আপনি যদি ওয়ারিশ হিসাবে বা ক্রয়সূত্রে কোন জমির মালিক হন কিন্তু নামজারি না করান, তবে আপনার অজান্তে কোনভাবে এক/একাধিক দলিল সম্পাদন করে কোন স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি আপনার আগে নামজারি করে ফেলতে পারে। তাতে আপনি পরবর্তীতে নামজারি করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়বেন। বাস্তবক্ষেত্রে জটিলতা আরো বাড়তে দেখা গেছে যখন উক্ত স্বার্থানেষী ব্যক্তি অপর এক বা একাধিক ব্যক্তির নিকট ঐ জমি ইতোমধ্যে বিক্রয় করে ফেলেছে। বর্তমানে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে নানারকম মামলা মোকদ্দমার সৃষ্টি হয়ে থাকে যা দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থ, সময় ও মানুষে-মানুষে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়।
  • সাধারণভাবে আমাদের ধারণা, দলিল সম্পাদন হলেই আমাদের কাজ শেষ। নামজারির দরকার কী? এটি অত্যন্ত ভুল ধারণা। দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে শুধুমাত্র মালিকানা হস্তান্তর হয় তবে সরকারের খাতায় মালিক হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া যায় না।
  • রেজিস্ট্রেশন দপ্তরটি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অফিস। সকল প্রকার দলিল সম্পাদন, রেজিস্ট্রিকরণ উক্ত দপ্তরের কাজ। দলিল রেজিস্ট্রিকরণের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত যিনি বিক্রেতা তিনি আদৌ উক্ত জমির মালিক হিসাবে সরকারের রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত আছেন কী না তার কোন রেকর্ড জেলা রেজিস্টার বা সাব-রেজিস্টারের দপ্তরে নেই। ফলে ভুলবশত: একই জমির এক বা একাধিক দলিলের মাধ্যমে বিক্রয়ের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে ভূমি অফিসগুলি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন যার কাছে সরকারের কাছে রেকর্ডভুক্ত মালিকদের নাম, পূর্ববর্তী নামজারিকৃত মালিকদের নাম, নথিসহ বিস্তর তথ্য থাকে। ফলে একবার নামজারি করাতে সক্ষম হলে একই জমির একাধিকবার বিক্রয় হলেও মূল মালিকের আর ক্ষতিগ্রস্ত বা হয়রানী হবার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • নামজারি আবেদনের মাধ্যমে আবেদনকারি যে স্বত্বলিপি অর্জন করেন, যাকে প্রচলিত ভাষায় আমরা ‘খতিয়ান’ বলে থাকি, এর মাধ্যমে তার উক্ত জমিতে মালিকানা স্বত্ব প্রমাণে নিশ্চয়তা লাভ করেন যা অন্য কোন দালিলিক মাধ্যমে লাভ করেন না।
  • নামজারি করা না থাকলে শুধু একাধিক বিক্রয়ের আশঙ্কাই বিদ্যামান থাকেনা, পরবর্তীতে আপনার অর্জিত সম্পত্তিতে দখলে থাকলেও পরবর্তীতে আপনার অবর্তমানে আপনার উত্তরাধিকারগণ উক্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবার আশঙ্কা থাকে।
  • যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ঋণ নিতে গেলে জমি বন্ধকের ক্ষেত্রে খতিয়ান ছাড়া আবেদন গ্রহণ করা হয় না।
  • ওয়ারিশনমূলে প্রাপ্ত জমির মালিকরা যদি নামজারি না করান তাহলে তাদের মধ্যে বিশেষত: নারী অংশীদারগণ এবং ভবিষ্যতে তাদের ওয়ারিশগণদের মধ্যে মারাত্নক জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ জন্য ওয়ারিশগণ সমঝোতার মাধ্যমে প্রথমেই নামজারি সম্পন্ন করে রাখলে পরবর্তীতে অনেক জটিলতা পরিহার করা সম্ভব হয়।

তাই ভবিষৎ মামলা মোকদ্দমার জটিলতার এড়াতে দ্রুত নামজারী সম্পন্ন করে ফেলুন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Categories

© All rights reserved © 2021 Lawsnlawyers.com
Developed By Lawsnlawyers