ধর্ষন এর শাস্তি মৃত্যুদন্ড করে রাস্ট্রপতির আদেশে অধ্যাদেশ জারী করা হয়েছে। নারীদের বিরুদ্ধে উচ্চ মাত্রার যৌন সহিংসতার পরে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবির ক্রমবর্ধমান দাবির মধ্যে বাংলাদেশ ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রবর্তন করেছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ১৩ ই অক্টোবর শিশু নির্যাতন দমন প্রতিরোধ (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করে এটিকে সরাসরি আইনে পরিণত করেছে। এখন থেকে ধর্ষণের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হবে নতুন আইনের অধীনে যাবজ্জীবন দণ্ড, যা কার্যকর হয়েছে। আইনটি সংশোধন করার পদক্ষেপটি কয়েকটি ভয়াবহ ঘটনার পরে বিভিন্ন মহল থেকে ধর্ষণকারীদের মৃত্যদণ্ডের ক্রমবর্ধমান দাবির মধ্যে এসেছিল।
ধর্ষনের শাস্তি বিষয়ক এই অধ্যাদেশে যা যা রয়েছে –
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যু শাস্তি ইত্যাদি প্রসঙ্গে ৯ (১) ধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি এতদিন ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
তবে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দল বেধে ধর্ষণের ঘটনায় নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা আহত হলে, সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম এক লক্ষ টাকা করে অর্থ দণ্ডের বিধানও রয়েছে।
সেই আইনেই পরিবর্তন এনে ধর্ষণ প্রমাণিত হলেই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থদণ্ডের বিধানও থাকছে।
নতুন অধ্যাদেশে ৯ (১) ধারাটি সংশোধন করে যাবজ্জীবন অথবা মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে।
ধর্ষন মামলা বিচারের সময়সীমাঃ
এটি আগের আইনের ২০(৩) ধারায় ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত আছে। তদন্ত বিচার পদ্ধতি সবকিছুই উল্লেখ রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচার করবে এবং শেষ করতে হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। বিচারক যদি কোনো কারণে বদলি হয়ে যান, সেক্ষেত্রেও বিলম্ব হয় অনেক সময়। এ কারণে কোনো বিচারক চলে গেলে তিনি মামলা যে অবস্থায় রেখে যাবেন, সেভাবেই মামলা চালিয়ে যেতে হবে।